ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার চীনের

  • আপলোড সময় : ২৯-০৩-২০২৫ ১২:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৯-০৩-২০২৫ ১২:৪২:৪২ পূর্বাহ্ন
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার চীনের
মিয়ানমার ইস্যুতে শান্তি আলোচনা এগিয়ে নিতে এবং দেশটির রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ইস্যুটির সমাধানকে এগিয়ে নিতে চীনের গঠনমূলক ভূমিকার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক সহায়তা দিতে বাংলাদেশের প্রশংসা করে বন্ধুত্বপূর্ণ পরামর্শের মাধ্যমে পারস্পরিক গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে বের করতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। চীন তার সাধ্যমতো প্রত্যাবাসনে সহায়তা অব্যাহত রাখবেও বলে জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার চীন-বাংলাদেশের এক যৌথ বিবৃতিতে একথা জানানো হয়। এর আগে সকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিনের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। গত বছরের আগস্ট থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার ও অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হয়েছে দেশটি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানানো এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়। উভয় পক্ষই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সুসংবদ্ধ কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে লালন করতে সমান প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। বিবৃতিতে জানানো হয়, উভয় পক্ষ একমত হয়েছে, ৫০ বছর আগে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন নির্বিশেষে দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক সুস্থ ও স্থিতিশীল উন্নয়ন বজায় রয়েছে। উভয় পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পাঁচটি নীতি দৃঢ়ভাবে ধরে রাখতে, তাদের ঐতিহ্যগত বন্ধুত্ব এগিয়ে নিতে, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা ও উন্নয়ন কৌশলের মধ্যে সমন্বয় গভীর করতে, চীন-বাংলাদেশ সমন্বিত কৌশলগত সহযোগিতা অংশীদারত্বে এগিয়ে যেতে এবং দুই দেশ ও তাদের জনগণের জন্য বৃহত্তর সুবিধা আনতে সম্মত হয়েছে। এতে বলা হয়, চীন সবসময়ই বাংলাদেশের জনগণের প্রতি সুপ্রতিবেশীসুলভ ও বন্ধুত্বের নীতি অনুসরণ করে আসছে এবং কার্যকরভাবে সুশাসন চর্চা, বাংলাদেশে ঐক্য ও স্থিতিশীলতা রক্ষা এবং বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন করে। বাংলাদেশ ‘এক চীন’ নীতির প্রতি তার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন সরকার সমগ্র চীনের প্রতিনিধিত্বকারী একমাত্র বৈধ সরকার এবং তাইওয়ান চীনের ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা’র বিরোধিতা করে বাংলাদেশ। চীনের মূল স্বার্থ এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় দেশটির প্রচেষ্টার বিষয়ে বাংলাদেশ সমর্থন করে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়নের অগ্রগতিতে বাংলাদেশের প্রতি চীন সমর্থন অব্যাহত রাখবে। বাণিজ্যিক নীতি ও বাজারভিত্তিক পদ্ধতি অনুযায়ী বাংলাদেশের সঙ্গে বস্ত্র ও পোশাক, ক্লিন এনার্জি, ডিজিটাল অর্থনীতি, কৃষি ও ম্যানুফ্যাকচারিংয়ের মতো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ সহযোগিতা পরিচালনায় চীনা কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করবে দেশটি। মোংলা বন্দর আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে চীনা কোম্পানিগুলোকে অংশগ্রহণের জন্য স্বাগত জানায় বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে চীনা অর্থনৈতিক ও শিল্প অঞ্চল (সিইআইজেড) আরও উন্নয়নে চীনা পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে। উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরু এবং চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ চুক্তি অনুকূল করার বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা শুরুর ওপর গুরুত্বারোপ করে। যত দ্রুত সম্ভব চীনে বাংলাদেশের আম এবং অন্যান্য কৃষি ও জলজ পণ্যসহ উচ্চমানের পণ্য রফতানির বিষয়টি উপলব্ধি করতে সম্মত হয়েছে উভয় পক্ষ। চীনের সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারণে চীনের ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট এক্সপো, চায়না-সাউথ এশিয়া এক্সপো এবং চায়না ইন্টারন্যাশনাল সাপ্লাই চেন এক্সপোর মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর পূর্ণ ব্যবহার করায় বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে চীন। চীনা কোম্পানিগুলোর জন্য অনুকূল বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ তার প্রস্তুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে। উভয় পক্ষ জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত পূর্বাভাস, বন্যা প্রতিরোধ ও দুর্যোগ হ্রাস, নদী খনন, জলসম্পদের সমন্বিত ব্যবস্থাপনা, জলসম্পদ উন্নয়ন এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি বিনিময়ের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করতে সম্মত হয়েছে। ইয়ারলুং জানবো-যমুনা নদীর জলবিদ্যুৎ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা করেছে উভয় পক্ষ। তিস্তা নদীর কম্প্রিহেনসিভ ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড রেস্টোরেশন প্রজেক্টে (টিআরসিএমআরপি) চীনা কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বাগত জানানো হয়েছে। উভয় পক্ষ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং ব্লু ইকোনমির সহযোগিতার সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে সম্মত। সামুদ্রিক বিষয়ে বিনিময় জোরদার করতে এবং উপযুক্ত সময়ে সামুদ্রিক সহযোগিতার বিষয়ে নতুন দফার সংলাপ আয়োজনে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ-চীন। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস তাকে এবং বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলকে উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও চীনা জনগণের আন্তরিক প্রশংসা করেন এবং পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের জন্য প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানান।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ